১.১ স্কলারশীপের আবজাবঃ শুরুর কথা
ধরে নিচ্ছি, যেহেতু তুমি এই লেখাটি পড়তে শুরু করেছো, তুমি দেশের বাইরে পড়তে আসতে ইচ্ছুক।
আমি জানি বাংলাদেশে অনেক অনেক অধ্যাবসায়ী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এবং তাদের অনেকেই দেশে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বিশ্বের বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করার অনেক খরচ। এবং তাদের অনেকেরই এই খরচ বহন করার মতো ক্ষমতা নাই। তবে আনন্দের বিষয় হলো যদি একটু পরিশ্রম করতে পারো, আর এইসব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায়িত্বে যারা রয়েছে তাদেরকে বোঝাতে পারো যে তুমি অধ্যাবসায়ী, তাহলে খুব সহজেই স্কলারশীপ নিয়ে সেগুলিতে পড়তে আসতে পারবে। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন এই ইনফরমেশনগুলি কিভাবে পাবো, কোথায় পাবো সেটা অনেক খোজাখুজি করে জানতে হতো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা মেলাতে গিয়ে খোজ খবর নিতে হয়েছে, দেশের বাইরে যেসব বড় ভাইয়া-আপুরা স্কলারশীপ নিয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি, তারা যে যেভাবে পেরেছে আমাকে সাহায্য করেছে। আবার আমি যখন স্কলারশীপ পেয়েছি, আমার জুনিয়রদেরকে সাহায্য করেছি। তারা যখন স্কলারশীপ পেয়ে আমাকে জানিয়েছে, আমার মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছে। বাংলাদেশ ছোট্ট একটা দেশ। হাজার সমস্যার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা করে, সেখান থেকে তোমরা যখন স্কলারশীপ নিয়ে বাইরে এসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করো, তখনতো সবার আনন্দ হবারই কথা তাইনা?
কিন্তু সবার হয়তো সেরকমভাবে সাহায্য করার কেউ নেই। সেই তোমাদের জন্যই আমার ফেসবুক পেইজে অনেক সময় না না রকম টিপস শেয়ার করি। কিন্তু সেখানে পুরোনো লেখা খুব সহজেই হারিয়ে যায়, তাছাড়া বিশাল বড় বড় ইনফরমেশনও একসাথে দেওয়া যায় না। এজন্য আমি এই ব্লগপোস্টগুলি লিখছি। কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুজে বের করবে, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়, কিভাবে এপ্লাই করতে হয়, কোন সময়টাতে এপ্লাই করার জন্য সবচেয়ে ভালো এই সব ইনফরমেশনগুলি এই লেখার সিরিজটিতে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো।
তাছাড়া দেশের বাইরে পড়াশোনার নিয়ম কিন্তু বেশ ভিন্ন। যদি ভাবো কোনভাবে চান্স পেয়ে গাদা গাদা মুখস্ত করে কোনভাবে পার পেয়ে যাবে, সেটি কোনভাবেই সম্ভব নয়। কাজেই তোমার যদি পড়াশোনা ভালো না লাগে, তাহলে এইলেখাগুলি পড়ে খুব একটা উপকার নাও হতে পারে।
তাছাড়া তোমার পরিচিত কোন বড়ভাই/ আত্মীয়/ বন্ধু যদি কোন একটা দেশে থাকে, তারা হয়তো ওই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করার পদ্ধতি সম্পর্কে তোমাকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। এছাড়া যেহেতু তুমি এই লেখাটি পড়ছো, আমি ধরে নিচ্ছি তোমার ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। গুগলে সার্চ করলে এক এক দেশের পড়াশোনার কালচার, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাব্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা পাবে। সেগুলি যাচাই-বাছাই করে নিজেই বুঝতে পারবে কোথায় পড়তে গেলে তোমার জন্য সবচেয়ে সুবিধা হবে।
আর যদি অনার্স শেষ করে ফেলো, তাহলে দেশের বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডিতে এপ্লাই করতে পারো। যদি তোমার রিসার্চ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে পিএইচডিতে এপ্লাই করাটাই বেটার। অনেকের ধারণা থাকে মাস্টার্স শেষ না করলে দেশের বাইরে পিএইচডিতে এপ্লাই করা যায় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল একটা ধারণা। যদি তোমার অনার্স চার বছরের হয়, তাহলে অনার্সের রেজাল্ট দিয়েই সরাসরি পিএইচডিতে এপ্লাই করতে পারবে। তবে যদি তোমার অনার্স তিন বছরের হয়, শুধু সেক্ষেত্রে পিএইচডিতে এপ্লাই করার আগে মাস্টার্স করা লাগবে।
যদি তোমার রিসার্চ ভালো না লাগে, তবে মাস্টার্সে এপ্লাই করাটা ভালো হবে। আর পিএইচডির চাইতে মাস্টার্সে চান্স পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে সহজ। তবে পিএইচডিতে যেমন সহজে স্কলারশীপ পাওয়া যায়, মাস্টার্সে সেরকম নাও যেতে পারে। কিন্তু সেন্ট্রাল স্কলারশিপ না পেলেও দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের On campus job অফার করে (On campus job কি বা কিরকম সেগুলি নিয়ে পরবর্তী একটা পোস্টে আলোচনা করবো)। যা দিয়ে মোটামুটি খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। এপ্লাই করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবে।
এক একটা দেশের ভর্তির নিয়ম আলাদা। এমনকি কোন সাবজেক্টে পড়তে চাও সেটার উপর নির্ভর করে ভর্তির রিকোয়ারমেন্টও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা মূলত Science রিলেটেড সাবজেক্ট যেমন, Physics, Chemistry, Technology, Engineering, Mathematics এ বেশি। এবং যেহেতু আমি নর্থ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করেছি, সুতরাং আমি আসলে সেদিকের উদাহরণ সহজে দিতে পারবো। তবে অন্যান্য দেশে এবং অন্যান্য সাবজেক্টে ভর্তির পদ্ধতিও কাছাকাছি। কাজেই আশা করি সমস্যা হবে না। পরের পোস্টে ভর্তির জন্য কি কি পরীক্ষা দেওয়া লাগবে, কি কি কাগজপত্র পাঠানো লাগবে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।
আমি জানি বাংলাদেশে অনেক অনেক অধ্যাবসায়ী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এবং তাদের অনেকেই দেশে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বিশ্বের বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করার অনেক খরচ। এবং তাদের অনেকেরই এই খরচ বহন করার মতো ক্ষমতা নাই। তবে আনন্দের বিষয় হলো যদি একটু পরিশ্রম করতে পারো, আর এইসব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দায়িত্বে যারা রয়েছে তাদেরকে বোঝাতে পারো যে তুমি অধ্যাবসায়ী, তাহলে খুব সহজেই স্কলারশীপ নিয়ে সেগুলিতে পড়তে আসতে পারবে। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন এই ইনফরমেশনগুলি কিভাবে পাবো, কোথায় পাবো সেটা অনেক খোজাখুজি করে জানতে হতো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা মেলাতে গিয়ে খোজ খবর নিতে হয়েছে, দেশের বাইরে যেসব বড় ভাইয়া-আপুরা স্কলারশীপ নিয়ে গিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি, তারা যে যেভাবে পেরেছে আমাকে সাহায্য করেছে। আবার আমি যখন স্কলারশীপ পেয়েছি, আমার জুনিয়রদেরকে সাহায্য করেছি। তারা যখন স্কলারশীপ পেয়ে আমাকে জানিয়েছে, আমার মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছে। বাংলাদেশ ছোট্ট একটা দেশ। হাজার সমস্যার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা করে, সেখান থেকে তোমরা যখন স্কলারশীপ নিয়ে বাইরে এসে দেশের মুখ উজ্জ্বল করো, তখনতো সবার আনন্দ হবারই কথা তাইনা?
কিন্তু সবার হয়তো সেরকমভাবে সাহায্য করার কেউ নেই। সেই তোমাদের জন্যই আমার ফেসবুক পেইজে অনেক সময় না না রকম টিপস শেয়ার করি। কিন্তু সেখানে পুরোনো লেখা খুব সহজেই হারিয়ে যায়, তাছাড়া বিশাল বড় বড় ইনফরমেশনও একসাথে দেওয়া যায় না। এজন্য আমি এই ব্লগপোস্টগুলি লিখছি। কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুজে বের করবে, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়ার জন্য কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়, কিভাবে এপ্লাই করতে হয়, কোন সময়টাতে এপ্লাই করার জন্য সবচেয়ে ভালো এই সব ইনফরমেশনগুলি এই লেখার সিরিজটিতে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো।
এই লেখাটি কাদের জন্য নয়?
তোমার যদি আসলে পড়াশোনা করার ইচ্ছে না থাকে বা উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আগ্রহ না থাকে, তাহলে এই লেখাগুলি তোমার জন্য না। অনেকেই ভাবে যে দেশের বাইরে চাকরি করার জন্য বিদেশী ডিগ্রি অপরিহার্য। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারনা; দেশ থেকে অনার্স পাশ করেও দেশের বাইরে কোম্পানিতে যোগ দেওয়া যায়। আমার পরিচিত অনেকেই দেশে পড়াশোনা করে সেই ডিগ্রি দিয়েই দেশের বাইরের কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। আবার অনেকেই একদেশে পড়াশোনা করার পরও সেখানে কোনভাবে কিছু করতে না পেরে আবার অন্যদেশে পাড়ি দিয়েছে। আসল কথা হলো, যদি তোমার যোগ্যতা থাকে তাহলে যে কেউই তোমাকে ডেকে নিবে, আর যদি যোগ্যতা না থাকে তাহলে পরিশ্রম করে করে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এর কোন শর্টকাট নাই।তাছাড়া দেশের বাইরে পড়াশোনার নিয়ম কিন্তু বেশ ভিন্ন। যদি ভাবো কোনভাবে চান্স পেয়ে গাদা গাদা মুখস্ত করে কোনভাবে পার পেয়ে যাবে, সেটি কোনভাবেই সম্ভব নয়। কাজেই তোমার যদি পড়াশোনা ভালো না লাগে, তাহলে এইলেখাগুলি পড়ে খুব একটা উপকার নাও হতে পারে।
কিন্তু সিজিপিএ?
যদি তুমি এখনও আমার লেখাটি পড়তে থাকো, তাহলে ধরে নিচ্ছি পড়াশোনার উদ্দেশ্যেই দেশের বাইরে আসতে চাচ্ছো। কিন্তু হয়তো তোমার সিজিপিএ নিয়ে তোমার ভরসা নাই। একটা দুইটা সেমিস্টারে খারাপ করায় দ্বিধায় পরে গেছো যে সেই রেজাল্টে স্কলারশীপ আদৌ পাবে কিনা। ঘাবড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। আমার নিজের সিজিপিএও খুব আহামরি কিছু ছিলোনা। এবং আমার একাধিক বন্ধু যারা দেশের বাইরে স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে এসেছে, তাদের অধিকাংশই সিজিপিএ নিয়ে তোমার মতই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতো। পরবর্তী একটা পোস্টে কিভাবে সিজিপিএ কম হলেও সেটিকে অন্যান্য যোগ্যতা দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।কোথায়/কোনদেশে পড়তে গেলে ভালো হবে?
কোন দেশে পড়তে যেতে চাও সেটা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যদি পৃথিবীর সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং খোজ করো, তাহলে দেখবে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে চীন, জাপান এমনকি সুইজারল্যান্ডেও অনেক ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঘা বাঘা সব প্রফেসর রয়েছে। একটা উদাহরণ দেই, যেমন এই মূহুর্তে (যখন এই আর্টিকেলটি লিখছি) থিওরেটিকাল ফিজিক্স পড়তে চাইলে ইটালি বা জার্মানী বেশ ভালো, আবার নিউক্লিয়ার ফিজিক্স বা নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চাইলে রাশিয়া খুব ভালো। আমেরিকায় পড়ার সাথে সাথে ঐ ভার্সিটিতেই teaching assistant হিসাবে কাজ পাওয়া যায়, তবে জার্মানীতে পড়তে গেলে সাধারণত বাইরে টুকটাক কাজ করে খরচ যোগাড় করতে হতে পারে।তাছাড়া তোমার পরিচিত কোন বড়ভাই/ আত্মীয়/ বন্ধু যদি কোন একটা দেশে থাকে, তারা হয়তো ওই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করার পদ্ধতি সম্পর্কে তোমাকে বেশি সাহায্য করতে পারবে। এছাড়া যেহেতু তুমি এই লেখাটি পড়ছো, আমি ধরে নিচ্ছি তোমার ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। গুগলে সার্চ করলে এক এক দেশের পড়াশোনার কালচার, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাব্যতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারনা পাবে। সেগুলি যাচাই-বাছাই করে নিজেই বুঝতে পারবে কোথায় পড়তে গেলে তোমার জন্য সবচেয়ে সুবিধা হবে।
অনার্স, মাস্টার্স নাকি পিএইচডি?
অনেকেই ইন্টারমিডিয়েটের পর দেশের বাইরে আসতে চাও। এক্ষেত্রে একটা জিনিস মাথায় রাখবে, অনার্সে স্কলারশীপ যোগাড় করাটা বেশ কষ্টকর (তবে অসম্ভব নয়)। যদি তোমার পরিবারের সামর্থ্য থাকে এবং নিজের যোগ্যতায় দেশের বাইরে খুব ভালো একটা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়ে যাও, তাহলে অবশ্যই আসবে। তবে দেশের মতো বিদেশেও আগাছার মতো অনেক ছোটখাটো বিশ্ববিদ্যালয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেগুলি চান্স পেলে লাভ নাই। সেখান থেকে পাশ করার পর সেটার মূল্য কেউই দিবেনা। এসব জায়গায় পড়ার চেয়ে দেশ থেকে একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে তারপর ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাটাই বেটার হবে।আর যদি অনার্স শেষ করে ফেলো, তাহলে দেশের বাইরে মাস্টার্স অথবা পিএইচডিতে এপ্লাই করতে পারো। যদি তোমার রিসার্চ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে পিএইচডিতে এপ্লাই করাটাই বেটার। অনেকের ধারণা থাকে মাস্টার্স শেষ না করলে দেশের বাইরে পিএইচডিতে এপ্লাই করা যায় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল একটা ধারণা। যদি তোমার অনার্স চার বছরের হয়, তাহলে অনার্সের রেজাল্ট দিয়েই সরাসরি পিএইচডিতে এপ্লাই করতে পারবে। তবে যদি তোমার অনার্স তিন বছরের হয়, শুধু সেক্ষেত্রে পিএইচডিতে এপ্লাই করার আগে মাস্টার্স করা লাগবে।
যদি তোমার রিসার্চ ভালো না লাগে, তবে মাস্টার্সে এপ্লাই করাটা ভালো হবে। আর পিএইচডির চাইতে মাস্টার্সে চান্স পাওয়াটা তুলনামূলকভাবে সহজ। তবে পিএইচডিতে যেমন সহজে স্কলারশীপ পাওয়া যায়, মাস্টার্সে সেরকম নাও যেতে পারে। কিন্তু সেন্ট্রাল স্কলারশিপ না পেলেও দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়েগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের On campus job অফার করে (On campus job কি বা কিরকম সেগুলি নিয়ে পরবর্তী একটা পোস্টে আলোচনা করবো)। যা দিয়ে মোটামুটি খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। এপ্লাই করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবে।
এক একটা দেশের ভর্তির নিয়ম আলাদা। এমনকি কোন সাবজেক্টে পড়তে চাও সেটার উপর নির্ভর করে ভর্তির রিকোয়ারমেন্টও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আমার অভিজ্ঞতা মূলত Science রিলেটেড সাবজেক্ট যেমন, Physics, Chemistry, Technology, Engineering, Mathematics এ বেশি। এবং যেহেতু আমি নর্থ আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে এপ্লাই করেছি, সুতরাং আমি আসলে সেদিকের উদাহরণ সহজে দিতে পারবো। তবে অন্যান্য দেশে এবং অন্যান্য সাবজেক্টে ভর্তির পদ্ধতিও কাছাকাছি। কাজেই আশা করি সমস্যা হবে না। পরের পোস্টে ভর্তির জন্য কি কি পরীক্ষা দেওয়া লাগবে, কি কি কাগজপত্র পাঠানো লাগবে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবো।