... কারণ $E=mc^2$
যখন কোন বন্ধুর সামনে আমি আইনস্টাইনের কথা তুলি (যারা আসলে পদার্থবিজ্ঞানের সাথে সরাসরি জড়িত নয়) তারা একবাক্যে বলে ওঠে- " ওওওওও বুঝেছি !! ঐ যে ইই ইকুয়্যালস এম সি স্কোয়ার ($ E=mc^2 $) !!!" অথবা বলে "হুমম!! ওই যে ওই বাউলা চুলের বুড়োটার কথা বলছিসতো?? "
হ্যাঁ , আইনস্টাইন হলো সেই বাউলা চুলের পদার্থবিজ্ঞানী যিনি $ E=mc^2 $ (ভয়াবহ জনপ্রিয় !!) সূত্রটি প্রবর্তন করে গেছেন । এবং মজার ব্যাপার হলো এটা এতটাই জনপ্রিয় যে -যাদের পদার্থবিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাটাও নেই তারাও এই সূত্রের কথা শুনলে গম্ভীর হয়ে মাথা ঝাঁকান । আইনস্টাইন এর - "energy was equal to mass times the speed of light squared" এই বাক্যটির সাথে সাথে কিন্তু আরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে ।
মহাবিশ্বের প্রতিটি অণু-পরামানু , প্রোটন, নিউট্রন আর ইলেকট্রনের ভেতর এই প্রচন্ড শক্তির বিস্ময়টুকু লুকিয়ে আছে ।
এই সুত্রটি যে শুধু কতটুকু ভরকে কতটুকু এনার্জিতে রূপান্তরিত হচ্ছে সেটার হিসাব দেয় তা নয়। এটি আমাদেরকে নতুন একটি বস্তুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, যার নাম অ্যান্টি-ম্যাটার । অ্যান্টি-ম্যাটারকে বলা হয় "The most volatile substance ever manufactured" কারণ যখনই কোন অ্যান্টি-ম্যাটার একটি ম্যাটারের সংস্পর্শে আসে সাথে সাথে বিষ্ফোরণের ঘটে এবং উভয়েই আবার energy তে পরিণত হয় (আবার থোর বড়ি খাড়ার মত $ E=mc^2 $ এসে হাজির হয় ) ।
(আজ সকালে seed magazine এ Ethan Siegel এর এই আর্টিকেলটা পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে মনে হলো এটা অনুবাদ করলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ । সাথে সাথে বসে গেলাম অনুবাদ করতে । আর publish করে দিলাম আমার ব্লগে ।)
**পূর্বে প্রকাশিতঃ Mad Science Blog (সেপ্টেম্বর, ২০০৯)
হ্যাঁ , আইনস্টাইন হলো সেই বাউলা চুলের পদার্থবিজ্ঞানী যিনি $ E=mc^2 $ (ভয়াবহ জনপ্রিয় !!) সূত্রটি প্রবর্তন করে গেছেন । এবং মজার ব্যাপার হলো এটা এতটাই জনপ্রিয় যে -যাদের পদার্থবিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাটাও নেই তারাও এই সূত্রের কথা শুনলে গম্ভীর হয়ে মাথা ঝাঁকান । আইনস্টাইন এর - "energy was equal to mass times the speed of light squared" এই বাক্যটির সাথে সাথে কিন্তু আরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে ।
- প্রথমত, যদি এই সূত্র সত্যি হয় তাহলে কি একজন ব্যক্তি চাইলে কোন বস্তুর ভরকে এনার্জিতে রূপান্তর করতে পারবেন, আবার এনার্জিকে ভরে এ রূপান্তর করতে পারবেন ?
- দ্বিতীয়ত, ভরহীন কোন বস্তুর এনার্জি কি অভিকর্ষ দ্বারা প্রভাবিত হবে ?
- তৃতীয়ত, কোন তেজস্ক্রীয় পদার্থ বিকিরণ করতে করতে একসময় কি তারা ভরশুন্য হয়ে পড়বে ?
- চতুর্থত, সূর্যের ভরই কি এনার্জি তে রূপান্তরিত হয়ে সূর্য শক্তি হিসাবে বিকিরিত হয়?
courtesy: vecteezy.com |
ছবিটি Hinode's Solar Optical Telescope এর সাহায্যে নেয়া হয়েছে। সূর্যের বিভিন্ন ধরণের magnetic polarity র plasma connecting region গুলোর বৈশিষ্ট্য এই ছবিতে ফুটে উঠেছে । |
অন্যভাবে বলা যায় - আমরা energy কে ম্যাটার এবং অ্যান্টি-ম্যাটার দুটোতেই পরিবর্তন করতে পারি । এবং ঠিক এই ধারণা থেকেই particle accelerators এর ধারণা জন্ম নিয়েছে । আমাদের লক্ষ্য প্রচন্ড পরিমাণ শক্তিকে একসাথে করে নতুন বস্তুর সৃষ্টি করা ।
যখন আসলেই এটা সম্ভব হবে, তখন একথা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করে নেবে যে- হ্যাঁ, সত্যি সত্যি mass কে energy এবং energy কে mass এ রূপান্তর করা সম্ভব । জানেন? এটা কীভাবে সম্ভব???
....কারন $E=mc^2$ ।
(আজ সকালে seed magazine এ Ethan Siegel এর এই আর্টিকেলটা পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে মনে হলো এটা অনুবাদ করলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ । সাথে সাথে বসে গেলাম অনুবাদ করতে । আর publish করে দিলাম আমার ব্লগে ।)
**পূর্বে প্রকাশিতঃ Mad Science Blog (সেপ্টেম্বর, ২০০৯)